একবছর পর ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। আগামী ১ মার্চ থেকে গড়ে ৭ শতাংশ হারে দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানান তিনি।
বিদ্যুতের দাম
ভর্তুকি কমাতে চলতি বছরে গ্রাহক পর্যায়ে তিন দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। আগামী জুনের মধ্যে আরো এক দফা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মিশনকে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
দু’মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে তিনবার। প্রতিবারই গ্রাহক পার্যায়ে বাড়ানো হয়েছে শতকরা পাঁচভাগ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দু’মাসে ১৫ ভাগ বলা হলেও বাস্তবে তার চেয়ে বেশি বেড়েছে।
বাংলাদেশে তৃতীয় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। প্রতি মাসে মাসে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের যে নীতি নেয়া হয়েছে, তারই আওতায় দু’মাসের মধ্যে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো।
বিদ্যুতের দাম আবারো বাড়ানো হয়েছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে এ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সবাই বিনিয়োগ করলে নিজেরাও লাভবান হবেন, আবার দেশটাও লাভবান হবে।
সরকারের নির্বাহী আদেশে এবার পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। যা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। নতুন মূল্য অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য আগের চেয়ে ইউনিট প্রতি ২০ পয়সা বেড়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে এ দাম ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৪ পয়সা করা হয়েছে।
এখন থেকে প্রতি মাসেই বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয়ের ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ভর্তুকি হিসাবে ৫৬ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।